বিশ্বায়নের এই যুগে তথ্য ও প্রযুক্তিজ্ঞান সমৃদ্ধ জনশক্তি গড়েতোলা সময়ের দাবি। শুরু হয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কর্মযজ্ঞ। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের প্রধানতমলক্ষ্য হতে হবে উপযোগী সুদক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, আর এজন্য প্রয়োজন হবে শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন। জ্ঞানভিত্তিক এই শিল্প বিপ্লবে প্রাকৃতিক সম্পদের চেয়ে দক্ষমানবসম্পদই হবে বেশি মূল্যবান। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব পুরো জীবনব্যবস্থাকে প্রভাবিতকরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষ, প্রকৃতি এবং সমাজের সর্ম্পকেরবৃহত্তর রূপান্তর হতে পারে। প্রতিনিয়ত ডিজিটালাইজেশনের রূপান্তরের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল পাওয়া মোটেই সম্ভব হবে না। আগামীর পৃথিবীটি হবে জ্ঞানভিত্তিকপ্রজন্মের পৃথিবী, তাই সেই সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার এখনই সময়। বিপ্লবের সুফলপেতে বাংলাদেশ সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে মাননীয়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে আমাদের এনতুন বিপ্লবে শামিল হওয়ার সুযোগ করে দেন। বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষামন্ত্রণালয় শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি-৪ বাস্তবায়ন,ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীতকরণে মাননীয়প্রধানমন্ত্রীর কাজ করে যাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নেরসোনার বাংলা গঠনই আমাদের অভীষ্ঠ লক্ষ্য। প্রফেসর মো.ওয়াহিদুজ্জামান অধ্যক্ষ হোসেনপুর সরকারি কলেজ, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদানে আজ আমরা বাস করছি গ্লোবাল ভিলেজে-যেখানে ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য একটি ডাইনামিক ওয়েবসাইট। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে আমাদের শিক্ষার্থীদের সুযোগ্য ও বিশ্ব নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সাধারণ শিক্ষার সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর বিশেষ জোর দেয়া এখন সময়ের দাবী। দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ সেবাদানের লক্ষ্যে অত্র কলেজের জন্য একটি ডাইনামিক ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে, যেখানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ প্রত্যেকেই তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং কলেজের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে অবহিত হতে পারেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসাবে শ্রেণীকক্ষে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান, ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, বিজ্ঞান ক্লাব, ব্লাড ডোনার ক্লাব, রোভার-স্কাউট ও বিএনসিসি-র কার্যক্রম চলমান আছে। খেলাধুলা ও সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রয়েছে সকল পর্যায়ে। পরিবেশগত শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে প্রতিষ্ঠানকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চালু হয়েছে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা। পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রদানের জন্য ইন্ট্রুডিউস করা হয়েছে ইএমএস-সফটওয়্যার ও ক্লাউডভিত্তিক সেবা। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রয়াসে চালু হয়েছে ফেইসবুক পেইজ ও ডায়নামিক ওয়েবসাইট । এসব কার্যক্রম আমাদের কাজে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা, জবাবদিহিতা ও সেবার মান বৃদ্ধি করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। অবশেষে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে শিক্ষার্থী, শিক্ষক/শিক্ষিকা, কর্মচারী, অভিভাবক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, সমাজ সেবক, বিদ্যোৎসাহী ও পেশাজীবী ব্যাক্তিবর্গের ইতিবাচক পরামর্শদানে সনির্বন্ধ আহবান জানাই। ওয়েবসাইটটি মেইনটেনেন্স এর সাথে সংশ্লিষ্টদের জন্য শুভ কামনায় এখানেই শেষ করছি। প্রফেসর লুৎফর রহমান মানিক উপাধ্যক্ষ হোসেনপুর সরকারি কলেজ,হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ